স্বাধীনতা দিবস অনুচ্ছেদ রচনা: আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আজকের আর্টিকেলে স্বাধীনতা দিবস অনুচ্ছেদ রচনা শেয়ার করা হবে। কথা না বাড়িয়ে তাহলে চলুন শুরু করি। স্বাধীনতা দিবস অনুচ্ছেদ রচনা।
আরও দেখুনঃ
অনুচ্ছেদ রচনা: স্বাধীনতা দিবস
স্বাধীনতা এক অমূল্য সম্পদ। ব্যক্তি ও জাতীয় জীবনে স্বাধীনতার গুরুত্ব অপরিসীম। ২৬-এ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস । আমাদের জীবনে স্বাধীনতা দিবস অত্যন্ত গৌরবময় তাৎপর্যপূর্ণ একটি দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশ নামক একটি রাষ্ট্রের অভ্যুদয়ের সূচনা হয়, অবসান ঘটে তেইশ বছরব্যাপী চলা পাকিস্তানি অপশাসনের। বাঙালির স্বাধীনতা ঘােষণা এবং স্বাধীনতা লাভের পেছনে রয়েছে এক সুদীর্ঘ প্রেক্ষাপট ও সংগ্রামের ইতিহাস। ১৯৪৭ সালে। দেশবিভাগের পর থেকে পশ্চিম পাকিস্তানিরা আমাদের সাথে বৈষম্যমূলক আচরণ শুরু করে।
প্রথমেই আমাদের মাতৃভাষা ও সংস্কৃতির ওপর আঘাত আসে। পরবর্তীতে তাদের ঔদ্ধত্য ও নিষ্ঠুরতা চরম আকার ধারণ করে। ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করেছিল। কিন্তু জনগণের রায়কে উপেক্ষা করে পাকিস্তানি সরকার ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতায় টিকে থাকার চেষ্টা করে। এদেশের সচেতন জনতা কিছুতেই তা মেনে নিতে পারেনি।
১৯৭১ সালের ২৫-এ মার্চ রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী অতর্কিতে হামলা চালায় নিরস্ত্র বাঙালির ওপর। তারা নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ চালায় পিলখানা, রাজারবাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। মধ্যরাতের পর হানাদার বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। গ্রেফতারের পূর্বেই, অর্থাৎ ২৬-এ মার্চের প্রথম প্রহরে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘােষণা করেন। তাঁর স্বাক্ষরিত ঘােষণা বার্তাটি তৎকালীন ইপিআর-এর ট্রান্সমিটারের মাধ্যমে চট্টগ্রামে প্রেরণ করা হয়।
এরপর চট্টগ্রামের স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে ২৬ ও ২৭-এ মার্চ বঙ্গবন্ধুর নামে প্রচারিত হয় স্বাধীনতার ঘােষণা । সারা বাংলায় ছড়িয়ে পড়ে স্বতঃস্ফূর্ত মুক্তির সংগ্রাম। এরপর গােটা বিশ্ব প্রত্যক্ষ করে নয় মাসব্যাপী চলা বাঙালির বীরত্বপূর্ণ স্বাধীনতা সংগ্রামের ঘটনাবলি। যার ফলশ্রুতিতে ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর বাঙালি লাভ করে চূড়ান্ত বিজয়, লাভ করে মুক্তির স্বাদ।
আমাদের জাতীয় জীবনে স্বাধীনতা দিবস বিশেষ তাৎপর্যবহ একটি দিন। প্রতি বছর ২৬-এ মার্চ যথাযােগ্য মর্যাদায় স্বাধীনতা দিবস পালিত হয়। এদিন সমস্ত ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়, জাতীয় পর্যায়ে অনুষ্ঠান আয়ােজন করা হয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহে বিশেষ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নতুন প্রজন্মকে স্বাধীনতার চেতনায় দীক্ষা প্রদান করা হয়।
বলা হয়ে থাকে, স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে রক্ষা করা কঠিন। তাই প্রতিটি স্বাধীনতা দিবসে আমাদেরকে স্বাধীনতা রক্ষার বলিষ্ঠ শপথ গ্রহণ করতে হবে । আর সেই শপথকে সামনে রেখে এগিয়ে যেতে হবে দেশ গড়ার নতুন প্রত্যয়ে।
আশা করি সবাই বুঝতে পেরেছেন। পরবর্তী আপডেট এর জন্য আমাদের সাথেই থাকুন। ধন্যবাদ সবাইকে।