আমাদের অনেক দিনের সপ্ন ফেসবুকের ডাটা সেন্টার বাংলাদেশে হবে। কিন্তু অনেক বছর ধরেই বিভিন্ন বাধা বিপত্তির জন্য তা সম্ভব হয়ে উঠেনি। কিন্তু সম্প্রতি জানা ও পাওয়া আপডেটের সূত্র ধরে বোঝা যাচ্ছে যে অতি শিগ্রয় ফেসবুকের ডাটা সেন্টার বাংলাদেশে হবে ও এবং এরই মাধ্যমে আমরা বেশকিছু বাড়তি সুবিধা পাবো।
জানা গেছে এই ফেসবুকের ডাটা সেন্টার বাংলাদেশে করার জন্য সরকারি সকল পারমিশনই আছে। মানে ফেসবুক চাইলেই আমাদের দেশে তাদের ডাটা সেন্টার নির্মাণ করতে পারে। কিন্তু সবকিছু এতটাও সোজা নয় বটে।
ডেইলি স্টার পত্রিকার একটি প্রতিবেদন অনুসারে খুবই শীঘ্রই বাংলাদেশ facebook ডাটা সেন্টার তৈরি করবে। ফেসবুকের ডাটা সেন্টার বাংলাদেশ হলে কোন এমবি বা ইন্টারনেট খরচ করে ব্যবহারকারীরা ফেসবুক ব্যবহার করতে পারবে।
এখন বর্তমানে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের মাঝে একটি বিরল সমস্যা হচ্ছে ইন্টারনেট অতিরিক্ত কেটে নিচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশের যদি ফেসবুক ডাটা সেন্টার হয়ে যায় তাহলে এই সমস্যা থেকে খুবই দ্রুত সময়ের মধ্যে মুক্তি মুক্তি পাওয়া যাবে। একই সঙ্গে দেশে আমাদের ডাটা সেন্টার থাকলে যেকোনো সমস্যার ক্ষেত্রে বা একাউন্টের যে কোন ত্রুটি হলে আমরা ডাটা সেন্টারে বা অফিসে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারব।
আর যেহেতু ফেসবুক একটি বিশ্বের অন্যতম সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম সে হতো বাংলাদেশে খুবই দ্রুত তারা ফেসবুকে ডাটা সেন্টার তৈরি করবে। কারণ বিশ্বের উন্নত সকল দেশেই ফেসবুক তাদের ডাটা সেন্টার তৈরি করে ফেলেছে। আর বাংলাদেশও মোটেও পিছিয়ে নেই প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে।
বাংলাদেশের অসংখ্য ছেলেমেয়েরা এখন ফ্রিল্যান্সিং করে এবং সোশ্যাল মিডিয়া ভিজিট করে। বাংলাদেশ থেকে লক্ষ লক্ষ মানুষ ফেসবুক সোশ্যাল প্লাটফর্ম ব্যবহার করে তাদের দিনের অধিকাংশ সময়। বিনোদনের জন্য এবং নিজের ভাব বিনিময় করার জন্য ফেসবুক বাংলাদেশের সবচাইতে অন্যতম একটি সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম।

বাংলাদেশে ফেসবুকের ডাটা সেন্টার কবে তৈরি হবে
আমাদের রিচার্জ অনুযায়ী ২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশে ফেসবুক তাদের ডাটা সেন্টার তৈরি করতে পারে। কিন্তু একদম নিশ্চিত এই তারিখ নয়। সুতরাং কেউ অবশ্যই বলবেন না আমরা সরাসরি একদম একজাক্ট তারিখ বলে দিচ্ছি। এটি শুধুমাত্র একটি ধারণা। সঠিক তথ্য তখনই পাওয়া যাবে যখন ফেসবুক কোম্পানি তাদের অফিসিয়াল পেইজের মধ্যে জানিয়ে দিবে।
সোশ্যাল মিডিয়া হিসেবে বাংলাদেশের সবচেয়ে উন্নতম যে প্লাটফর্মটি জুড়ে রয়েছে সেটি হচ্ছে ফেসবুক। এবং ফেসবুক বাংলাদেশ থেকে প্রচুর টাকা বর্তমান সময়ে ইনকাম করছে। যার অধিকাংশ ইনকাম করে ফেসবুক এডস এর মাধ্যমে। এছাড়াও facebook বর্তমানে বাংলাদেশের জনগণকে টাকা ইনকামের সুযোগ দিয়েছে। আপনি আমি যে কেউ চাইলে ফেসবুকে কনটেন্ট তৈরি করে টাকা ইনকাম করতে পারি।
তাই বাংলাদেশের ফেসবুকের অফিস হওয়া সম্পূর্ণ যৌক্তিক একটি বিষয়। এতে পেমেন্ট সংক্রান্ত যে সকল সমস্যাগুলোর মধ্যে আমাদের কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের পড়তে হয় সেগুলো বাংলাদেশে ফেসবুকের অফিস হলে আর হবে না। আর যদি কোন সমস্যা হয় সরাসরি অফিসে গিয়ে একদম দ্রুত সময়ের মধ্যে সমাধান করা যাবে।
অন্যান্য দেশগুলোর মত বাংলাদেশের যদি ফেসবুকে ডাটা সেন্টার তৈরি করা হয় সেক্ষেত্রে কনটেন্ট ক্রিকেটাররা সরাসরি লাইভ সাপোর্ট পাবে। এতে করে তাদের যেকোনো ধরনের সমস্যার ক্ষেত্রে কিংবা ফেসবুক অ্যাকাউন্টের সমস্যার ক্ষেত্রে তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে সমাধান পেতে পারে। অন্যদিকে বর্তমান সময়ে যেকোনো একটি সমস্যার সমাধান করতে হলে প্রায় এক সপ্তাহ সর্বনিম্ন লেগে যায়। আশা করছি খুবই দ্রুত সময়ের মধ্যে বাংলাদেশে ফেসবুকে ডাটা সেন্টার চলে আসবে।
এছাড়া অনেক বড় বড় টেক ইউটিউবারদের মতে খুবই দ্রুত বাংলাদেশ সরকার ফেসবুক কোম্পানিকে বাংলাদেশে আসার জন্য বলবেন। কারণ বাংলাদেশে ফেসবুকে ডাটা সেন্টার না থাকলে বিভিন্ন সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে। অন্যদিকে বিটিআরসি অবশ্যই ফেসবুক কোম্পানির অফিসকে বাংলাদেশে মানিয়ে নিবে অঅশা করি।