আইটেল ভিশন 2 দাম কত: আইটেল ভিশন কোম্পানির আরো একটি দূর্দান্ত স্মার্টফোনে হচ্ছে আইটেল ভিশন 2 এই মোবাইলটি। আমরা অনেকেই এই মোবাইলটি কিনতে চাচ্ছি। তবে মোবাইলটির অর্থাৎ আইটেল ভিশন 2 দাম কত আপনি কি শুনেছেন? কিংবা এই মোবাইলে কি কি রয়েছে সেগুলো সম্পর্কে কি ধারণা অর্জন করেছেন? যদি না করে থাকেন তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটিতে আপনি সবকিছু জানতে পারবেন। এবং সহজেই আপনি এই মোবাইলটি ক্রয় করতে পারবেন তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
আরো পড়ুন:
ক্যামেরা – Itel Vision 2 Camera Test
আইটেল ভিশন 2 এই স্মার্টফোনটিতে ব্যবহৃত হয়েছে তিনটি ক্যামেরা বা ট্রিপল ক্যামেরা সেটআপ। মোবাইল ফোনটির মেইন ক্যামেরা হিসেবে রয়েছে ১৩ মেগাপিক্সেল এবং দুই মেগাপিক্সেলের মাইক্রো সেন্সর ক্যামেরা এবং ০.৩ মেগাপিক্সেলের ডেপ্ট সেন্সর ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়েছে। (আইটেল ভিশন 2 দাম কত)
ক্যামেরার পারফরমেন্সের কথা বলতে গেলে তুলনামূলক ভালই রয়েছে অন্য স্মার্টফোনগুলো তুলনায় এই কোম্পানির। এই স্মার্ট ফোনটি ক্যামেরার দিক দিয়ে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে এখানে অসাধারণ ধরনের পিকচার তোলা যাবে মাত্র এই বাজেটের একটি মোবাইল হিসেবে। বাজেট ফ্রেন্ডলি মোবাইল তাই অবশ্যই বলব ক্যামেরার দিক দিয়ে কোম্পানিটি ভালোই পারফরমেন্স দিচ্ছে ব্যবহারকারীদের।
আরো পড়ুন:
ফ্রন্ট ক্যামেরা হিসেবে রয়েছে আর্ট মেগাপিক্সেল যেখানে আপনি ফুল এইচডি রেচুলেশনের ভিডিও রেকর্ডিং করতে পারবেন। অর্থাৎ মোটামুটি ভালই পারফরম্যান্স দিবে এই স্মার্টফোনটির পেছনের এবং সামনের দুটি ক্যামেরায়। তাই যারা টুকটাক ফটোগ্রা কি করতে চাচ্ছেন তাদের জন্যে স্মার্টফোনটি হয়ে উঠতে পারে বিশাল একটি স্মার্ট ফোন এই বাজেটে।
ব্যাটারি – Itel Vision 2 Battery
এই স্মার্ট ফোনটির আরো একটি অন্যতম দিক হচ্ছে এখানে পেয়ে যাচ্ছেন চার হাজার মিলি আম্পিয়ারের
নোন রিমুভার একটি ব্যাটারি। ব্যাটারি পারফরমেন্সের কথা বলতে গেলে আপনি মোবাইলটি একবার চার্জ দিয়ে সারাদিন চালাতে পারবেন কোন ঝামেলা ছাড়াই।
আবার যারা নরমাল ব্যবহারকারী রয়েছেন তারা এই স্মার্টফোনটি মোটামুটিভাবে দেড় দিন পর্যন্ত চালাতে পারবেন। কিন্তু যারা একটু হাই লেবেলের ইউজ করে তাদের জন্য ছয় থেকে সাত ঘন্টার মধ্যে মোবাইল ফোনটির ব্যাটারি শেষ হয়ে যেতে পারে। আবার চার্জও মোটামুটি খুবই তাড়াতাড়ি হয়ে যায় আইডিয়াল ভিশন ২ (Itel Vision 2) স্মার্টফোনে। (আইটেল ভিশন 2 দাম কত)
ডিসপ্লে – Itel Vision 2 Display
মোবাইলটির ডিসপ্লের সাইজ ৬.৬ ইঞ্চি। মোবাইলটি ডিসপ্লে হচ্ছে এইচডি প্লাস রেজুলেশনের একটি আইপিএস ট্রাফিক স্কিন টেকনোলজির সমৃদ্ধ উন্নত মানের ডিসপ্লে। এবং মাল্টিটাচ ফিচার রয়েছে মোবাইল ফোনটি ডিসপ্লেতে। এছাড়া মোবাইল ফোনটির বডির স্টাইল হচ্ছে মিনিমাল নোটস। স্মার্টফোনটি নির্মিত হয়েছে।
পারফরমেন্স – Itel Vision 2 Performance
মোবাইল ফোনটির পারফরমেন্স সেকশনে যদি আমরা যাই তাহলে দেখতে পারবো অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে এন্ড্রোয়েড ১০ গো এডিশন ব্যবহৃত হয়েছে। এবং চিপসেট হিসেবে ইউনিসক পাচ্ছেন। র্যাম রয়েছে দুই এবং তিন দুই ধরনের কম্বিনেশনে। অর্থাৎ আপনি দুই জিবিও কিনতে পারবেন, আবার চাইলে ৩ জিবিও কিনতে পারবেন। আলাদা দুইটি ভেরিয়েন্ট। এবং প্রসেসর হিসেবে রয়েছে ১.৬ গিগাহার্জ।
অন্যদিকে জিপিও হিসেবে পাওয়ার ভিআর এর একটি ভালো যেটি ব্যবহৃত রয়েছে। ইন্টারনাল স্টোরেজ হিসেবে ৬৪ জিবি এবং ৩২ জিবি দুই ধরনের সেগমেন্টের মোবাইল ক্রয় করতে পারবেন। চাইলে ১২৮ জিবি পর্যন্ত মাইক্রো এসডি কার্ড লাগাতে পারবেন। এছাড়াও মোবাইল ফোনটিতে ফিঙ্গারপ্রিন্ট এবং ফেস আনলক সিস্টেম রয়েছে যার ফলে সহজেই মোবাইল ফোনটিতে আপনি সিকিউরিটি ভালোভাবে রাখতে পারবেন। মোবাইলটির ওজন মাত্র ১৪৯ গ্রাম।
যার ফলে যারা গেমিং করে থাকেন তাদের জন্য মোবাইলটি ভালো পারফরম্যান্স দিবে। অর্থাৎ যারা টুকটাক গেমিং করবেন যেমন ফ্রী ফায়ার বা এ ধরনের লাইট ওয়েট এর গেম গুলো খেলবেন তাদের জন্য মোবাইল ফোনটি ভালো হতে পারে। এছাড়া ওজন কম হওয়ার কারণে মোবাইলটি খুব সহজেই হ্যান্ডি ফিলিং দিবে।
আইটেল ভিশন 2 দাম কত
আইটেল ভিশন 2 দাম ৮,৪৯০ টাকা ২ জিবি র্যাম ও ৩২ জিবির ইন্টারনাল স্টোরেজ। অন্যদিকে ৩ জিবি র্যাম ও ৬৪ জিবি ইন্টারনাল স্টোরেজ ভেরিয়েন্ট পেয়ে যাবেন ৯,৪৯০ টাকায়।
এই স্মার্ট ফোনটি বাজারে লক করা হয়েছিল ২০২০ সালে। ২০২০ সাল থেকে বাংলাদেশ বাজারে স্মার্টফোনটি রয়েছে এবং বিভিন্ন সময়ে স্মার্টফোনটি ডিসকাউন্টে বিক্রয় করা হয়। বাংলাদেশ নয় বাংলাদেশের বাইরেও ভারতে আপনি এই স্মার্টফোনটি দেখতে পারবেন।
আমাদের শেষ কথা
সবদিকের কথা বিবেচনা করে যদি আমি বলতে চাই আইটেল ভিশন ২ স্মার্টফোনটি কেমন, তাহলে অবশ্যই বলতে হবে এই স্মার্টফোনটি এত কম দামের মধ্যে খুব ভালো ধরনের স্পেসিফিকেশন আমাদের কাছে দিচ্ছে। তাই অবশ্যই এই স্মার্টফোনটি একটি উন্নত মানের স্মার্টফোন হিসেবে বিবেচিত হবে। সুতরাং আপনার ৮,০০০ থেকে 10 হাজার টাকার মধ্যে হয়ে থাকে তাহলে আইটেল ভিশন 2 আপনার জন্য বেস্ট মোবাইল হতে পারে ২০২৩ সালে এসে।